রবিবার, ৮ মে, ২০১৬

কচি বউ





“কী হয়েছে বাবা? এটা জাস্ট একটা প্যারোডি ছিলো। নাথিং এলস! আর কাল তুমি আমার স্ল্যাং ইউজ করাতে আহত হয়েছিলে, যদিও তা বলনি, কিন্তু আমি খুব বুঝতে পেরেছিলাম। আজ তুমিই সেটা করছ? হোয়াটজ রং বাবা?”
তার কন্ঠে নিখাঁদ বিস্ময়।
“ওহ, তুমি তো কাঁপছো রীতিমত। স্যরি বাবা। প্যারোডি’টার নিম্নমান হয়তো তোমাকে আহত করেছে। নাও এক গ্লাস পানি খেয়ে নাও”
এক গ্লাস পানি আমার সত্যিই খুব দরকার ছিলো। আমি আসলেই কাঁপছি। গলা শুকিয়ে কাঠ!
“খেয়ে নাও বাবা, এরপর আমরা মুভি শো শুরু করব”
“আজকে বাদ দাও। আমার শরীর ভালো লাগছে না”
“ওকে বাবা। সি ইউ টুমরো। গুডনাইট!”








teespring.com/likedell

পরেরদিন কোনকিছুতেই আমার মন বসছিলো না। খুব অস্থির লাগছিলো।অফিসের মধ্যেই সন্তর্পণে বাথরুমে গিয়ে জলিকে ফোন করে চাপা গলায় বললাম,
“জলি, ও আরো বেশি কিছু জানে!”
“কে কী জানে!”
এই গাধী মহিলাকে কোনকিছু একবার বললে বুঝবে না। ইচ্ছা করছিলো চিৎকার করে গালাগাল করি। কিন্তুনিজেকে শান্ত রাখলাম প্রাণপন প্রচেষ্টায়।
“ববি। ববি ওর মায়ের মৃত্যুর ব্যাপারটা জানে”
“ও মা! তা কেন জানবে না? ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলো। এটাতো সবাই জানে।”
“আমাদের প্ল্যান…”
“চুপপপপ! গাধার মত কথা বল না। প্ল্যান অনুযায়ী কিছু হয় নি। যা হবার এমনিতেই হয়েছে। এখন সবকিছুভজঘট করে দিও না!”
আমি ফোন রেখে দিলাম। জলির কন্ঠের শীতলতা আমাকে জমিয়ে দিচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে এই অফিস,টেলিফোন, রাস্তাঘাট সবই হরর উপাদান! নাহ আর কোন হরর ছবি না। আজকে মুভিস্টোরে যাব না। কোন হরর ছবি কিনবো না। আর ববি মাতবরিকরতে গেলে দেবো এক চড়।
“আনো নি আজকে?”



Facebook Page link Please like the page
“না”
“হাহা! তা অবশ্য এনে কী করবে! জীবনটাই তো একটা হরর সিনেমা তাই না?”
“শাট আপ!”
“স্যরি বাবা, আমি ফিলোসফি চোদায় ফেলছি। উপস! এই দেখো আবারও স্ল্যাং ইউজ করলাম। আজকেও কী তোমার শরীর খারাপ করছে? ঘুমিয়ে যাবে? গল্প করবে না? কালকের ফিল্মগুলো কিন্তু দেখা বাকি এখনও!”
আমি আর নিতে পারছিলাম না ওর তীর্যক বাক্যবান। সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম। শরীর একদম ছেড়ে দিয়েছে।
“বেশি হাঁসফাঁস লাগছে বাবা? জানালা খুলে দিই? উফ একদম বাতাসনেই। চল ছাদে যাই। যাবা?”
“এত রাতে ছাদে যায় কেউ?”
“কেন তুমি ভয় পাচ্ছো?”
“ভয় পাবো কেন!” ইটজ জাস্ট নট দ্যা প্রপার টাইম!”
“তা অবশ্য ঠিক বলেছো বাবা। ছাদ তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। একদিন গেলেই হল। হরর মুভিও পালিয়ে যাচ্ছে না। একদিন দেখলেই হল। সবকিছু কী সহজ, তাই না? নাকি আমরা সহজ বলে ভুল করি? যেমনটা তুমি করেছিলে। তুমি তো তেমনটাই ভেবেছিলে বাবা, তাই না?”
“আমি কিচ্ছু করিনাই, কিচ্ছু না। বিলিভ মি!”
“উপস! তুমি কিছু করেছিলে এমনটা কেন ভাবছো বলতো? আর বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রসঙ্গই বা কেন আসবে? যাও বাবা, শুয়ে পড়।”
আমি ওর কাঁধে ভর করে বিছানায় যাই।
“ঘুমোনোর আগে কিছু পড়বে বাবা? সামথিং রিলাক্সিং…একটু অপেক্ষাকর”
সে আমাকে একটা পুরোনো ট্যাবলয়েডএনে দিলো। যেগুলোর শিরোনামে বড় বড় করে খুন খারাপির কথা লেখা থাকে। আমি অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও শিরোনামে চোখ বুলোতে গিয়ে দেখলাম লাল রঙের হরফে লেখা-
“ঢাকার সবুজবাগে পুত্রের হাতে নৃশংসভাবে পিতা নিহত”
আমি ঝট করে ববি’র দিকে তাকালাম।
“গুডনাইট, বাবা!”
ও চলে গেলো।
আমার মাথায় ঘুরতে লাগলো সবুজবাগ, ঢাকা, খুন। এলাকাটা মিলে গেছে। বাবা-ছেলে একসাথে থাকতো এটাও মিলে গেছে। এমন কী বয়সেও অদ্ভুৎ সাদৃশ্য। ববি আমাকে কেন এটা দিলো? কী বাজে ভাবছি! স্রেফ কাকতালীয় ব্যাপার।যেমনটা ছিলো আমার আর জলির পরিকল্পনার সাথে ববির মা’র দুর্ঘটনাটা মিলে যাওয়া। এটাও কীমিলে যাবে! টেলিফোনটা ভাইব্রেট করছে, জলির ফোন। ও কেন যেন কোন কারণ ছাড়াই ফোন করে হিহিহিহিহি করে হাসছে। ও কী বুঝতে পেরেছে? আমার দুর্দশা দেখে হাসছে? দরজায়কড়া নাড়ছে কে? ববি? কী চায়? কী চায় সে!
কিছুক্ষণ পর ধাতস্থ হয়ে বুঝতে পারি আমার নার্ভাস ব্রেকডাউন ঘটেছিলো। জলির ফোন আসে নি। ববিও দরজা ধাক্কায় নি। চারিদিকে সব ভয়ের উপাদান। সব হরর এলিমেন্ট ঘিরে ধরেছে আমাকে। আমি জানি এখন থেকে ববির আর হরর মুভি দেখে রাত পার করতে হবে না। রিয়্যাল লাইফ হরর এর মজা পেয়ে গেছে ও…
পরেরদিন সকালে বের হবার সময় আমাকে সে বলল,
“এখন থেকে আমরা হরর মুভির বদলে ক্রাইম ড্রামা দেখবো, ওকে বাবা?”
আমার নাম ইমা। বয়স ২৫ এর একটু বেশী। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়ে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী তে মোটামুটি স্যালারীর জব করছি। বাবা-মা এর সাথে থাকি আর স্বামী বা সন্তান এর কোন ঝামেলা নেই, তাই আমার স্যালারীর অনেকাংশে ব্যাঙ্কে শাখা-প্রশাখা গজাচ্ছে।
DesiBees-র খবর পেলাম এক অনলাইন বন্ধুর কাছে, যার সাথে মাঝে মাঝে হুটহাট কথা-চ্যাট হয়। দুরত্বের কারনেই হয়তো তার সাথে সম্পর্ক টা খুব কম সময়েই ন্যাস্টি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সে আমাকে তার লেখা চটি পরতে দিয়েছিলো। আমি বেশ মজা করেই পড়েছিলাম। বেশ ভালোই লিখে ছেলেটি। ওহ, তার নিক হলো Gorib_Manush
আমি আমার জীবনের কিছু গল্প তার সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমি লেখালেখি করি শুনে বললো আমার জীবনের গল্প নিয়ে গল্প লিখে ফেলা উচিত। তাই একি সাথে ভয় আর এক্সাইটমেন্ট নিয়ে লিখতে বসে গেলাম নিজের কাহানি।
যাকে নিয়ে এই গল্প তার বয়স ছিলো ৫০ এর ঘরে। আর তখন আমার বয়স ছিলো ১৭… সবে মাত্র কলেজে উঠেছি। তিনি আমার বড় চাচা। আমি বাবা-মার সাথে থাকি। এক মাত্র সন্তান হওয়ায় হয়তো আমার ব্যাপারে বাবা-মা খুব বেশী কনজারভেটিভ ছিলেন। সবাই যখন প্রেমের হাওয়ায় ভেলা ভাসিয়ে অনেক কিছু দেখে/শুনে/বুজে/করে ফেলেছে, আমি তখন টিভি তে সিরিয়াল দেখে আর নির্দিষ্ট কিছু বান্ধবীর সাথে কথা বলেই সময় পার করছিলাম। আমার বড় চাচা হলে আর্মির রিটায়ার্ড মেজর। উনি থাকতেন যশোর। চাচি অনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন, কিন্তু বড় চাচা এর পর আর বিয়ে করেননি। আমাকে খুব আদর করতেন ছোট বেলা থেকেই। আমাকে দেখার জন্যই উনি মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় এসে এক সপ্তাহ দুই সপ্তাহ বেড়িয়ে যেতেন। আর যখনই আসতেন তখনই আমার জন্য দু হাত ভর্তি গিফট নিয়ে আসতেন – কখনো জামা কাপড়, কখনো আমার পছন্দের খাবার।
ঘটনা বলা শুরু করি তাহলে। একটু পিছিয়ে যাই। আমার যখন ১৬ বছর, সামনে ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষা – তখন থেকে শুরু করি।






পরীক্ষার ঠিক আগে দিয়ে আমার মধ্যে একটা নার্ভাসনেস কাজ করছিলো। এসএসসি তে আমি এ প্লাস পেয়েছি, এইচএসসিতেও পেতে হবে, বাবা মা এরকমই প্রত্যাশা করছিলো আমার কাছে। আমার প্রিপারেশান ভালো ছিলো, তবুও ঠিক কনফিডেন্স পাচ্ছিলাম না। তাই শুরু করলাম রাত জেগে পড়াশোনা।
একদিন এরকমই এক রাতের কথা, ফিজিক্স পার্ট টু পড়ছিলাম। আমার টেবিল ল্যামপ জ্বলছিলো রুমে, আর সব অন্ধকার। বাইরেও অন্ধকার। হঠাৎ পাশের বাসায় লাইট জ্বলে উঠলো। আমার রুমের জানালার দিকেই ঐ বারান্দাটা মুখ করা। খুব গা ঘেষাঘেষি বিল্ডিং। বারান্দার পরেই বেডরুমের জানালা এবং পর্দা উঠানো। সেদিন অনেক গরম পড়েছিলো, তাই আমিও জানালার পর্দা উঠিয়ে রেখেছিলাম। ভালো করে তাকাতেই দেখি জানালা দিয়ে খুব আবছা ভাবে দেখা যাচ্ছে একটা মেয়ের ধবধবে সাদা পিঠ। চুলগুলো উঁচু করে বাঁধা তাই পিঠ অনেকটাই উন্মুক্ত! একটু পর একটা ছেলে এসে তার সামনে দাঁড়ালো… মেয়েটা কিছুটা ঝুকে গেলো, আর ছেলেটার চেহারা সাথে সাথে বদলে গেলো। যেন এক দারুন সুখের সন্ধান সে পেলো।
আমি টেবিল ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়ে জানালার পর্দা ফেলে খুব সাবধানে একটু ফাঁকা করে দেখতে লাগলাম ওদের কান্ড। ছেলেটা হঠাৎ মেয়েটার মাথা সরিয়ে দিলো ওর কোমরের কাছ থেকে, আর তখনই আমি দেখলাম ইয়া বিশাল একটা নুনু!!! আমার ছোট খালার ছয় বছরের ছেলে রুপকের নুনু আমি অনেকবার দেখেছি, ধরেছি, কিন্তু ওরটা এরকম না। এতো বড়ও না, এতো মোটাও না। সবচেয়ে বড় কথা রুপকের নুনু এইভাবে সটান দাঁড়িয়ে থাকে না। মনে হচ্ছিলো যেন একটা মোটা লাঠি! এই এতো বড় যন্ত্রটা কিভাবে ছেলেরা প্যান্টের ভেতর নিয়ে ঘোরে কে জানে!
আমার মাথা কেমন যেন ঝিমঝিম করতে লাগলো, যখন দেখলাম ঐ অতো বড় মেশিনের মতো নুনুটা মেয়েটা তার মুখের ভেতর কি সুন্দরভাবে ঢুকিয়ে নিলো! আর তখনই লোডশেডিং… আর অন্ধকার হয়ে গেলো সবকিছু
সেই ঘটনা আমার জীবনে বেশ বড়সর ধাক্কা দিলো। আমি আগে কখনো এসব নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, কিন্তু সেই ঘটনার পর মাথার মধ্যে শুধু সে রাতের দেখা ছবিটা ঘুরছিলো। কিছুতেই নামাতে পারছিলাম না। আমার আশে পাশের পুরুষদের ভিন্ন চোখে দেখা শুরু করলাম। যার দিকে তাকাই, মনে হয় ওর টা কি অতো বড়ো! ওটা মুখে নিলে কেমন লাগে! এমনকি পরীক্ষার হলে বসেও এসব কথা মাথায় ঘুরতো।
যাইহোক, পরীক্ষা শেষ হলে সেই বাসায় বসে থাকা। বসে বসে যখন চরম বোর হচ্ছিলাম তখন বেড়াতে গেলাম মামার বাসায়। অনেকদিন পর মামার বাসায় গিয়ে মনে হলো আমি মুক্তি স্বাধীন। মামাতো বোন স্বচরিতার সাথে দেখা হল অনেক বছর বাদে। দুজনের মনে পড়ে গেলো ছোটবেলার সেই দুষ্টুমির কথা। রিতার বিয়ে হয়েছে এক বছর হল কিন্তু এখনো সেই দুষ্টুমি তার মাঝে চরম পরিমানে বিদ্যমান। রাতে আমরা এক সাথে গুমোতে গেলাম।
এটা সেটা কথার পর আমাদের কথার মোড় ঘুড়ে গেলো সেক্স এর দিকে। আমি এই ব্যাপারেই যেমন অজ্ঞ, রিতা তেমনি বিজ্ঞ। রিতা তার ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর গল্প (অন্তত সেই রাতে আমার কাছে তাই মনে হয়েছিলো) ঝোলা থেকে বের করছিলো আর আমার কানে ফিসিফিস করছিলো। আমি দম বন্ধ করে কাঠ হয়ে পড়েছিলাম।
রিতা – বিয়ে হইছে এক বছর, কিন্তু সোয়ামী রে পাইলাম না বেশীদিন। লোকটা চাকরী নিয়া বিয়ার দুই মাস পরেই মিডল ইস্ট চইলা গেলো। ক, কেমন কষ্ট হয় আমার!
আমি – কিসের কষ্ট! (অবশ্যই বোকার মতো প্রশ্ন)
রিতা – এই মাগী, বুঝস না কিসের কষ্ট! আরে, মাত্র দুইমাসের চোদায় কি কিছু হয়? সবেমাত্র শিখা শুরু করছিলাম। প্রথম এক মাস তো এদিক অদিক বেড়াইতে বেড়াইতে আর রাতের বেলা ভয়ে ভয়ে করতে করতেই গেলোগা। সে চইলা যাওয়ার পর প্রথম এক মাস খুব কষ্টে কাটছে।
আমি – কেমনে করতিরে?
রিতা – কি কস! তুই কোনদিন ব্লু-ফিল্ম দেখস নাই? কেমনে করে মাগী জানস না?
আমি – নারে, আমি এসব নিয়ে কারও সাথে কথাও বলিনি কখনো। কখনো কিছু দেখিনি। তবে এক রাতে একটা জিনিস দেখেছিলাম।
তারপর আমি রিতাকে সেই রাতের কথা বললাম। রিতা আমার কথা শুনে কিছুক্ষন হাসলো মুখ চাপা দিয়ে। তারপর আমাকে তার প্রথম রাতের কথা বললো – কিভাবে কি করেছে।
-”উমমমমম,… অউমমম আহ্হঃ, হাহা, এই বয়সে এমন সুন্দরী কচি বউ
পাওয়া তো চাট্টিখানি কথা না!প্চ্মহ… হমমমমমম “
-”উঃ! উমমম আমি আপনার কচি বউ নাকি? উহ্ম্ম্ম্হ …আহ্!”
-”তাহলে তুমি কি বল তো সোনামণি? উমমমমম?প্চ্ম্ … ঔম্!”
-”আহ্হঃ ইশশশ … জানিনা”
-” আমায় ওই নামে ডাকবেন না!”
-”কচি বউ! হাহা উমমমমম..”
-”ধ্যাত্!”
-”কি হলো?”
-”একটু আস্তে টিপুন না!”
-”উমমম, হাহা সুন্দরী তুমি তো জানই, আমার হাত কথা শোনে না!…
-কি করবো বলো!”
-”আউচ্ লাগছে!”
-”উমমম, আমার যে ভালো লাগছে!”
-”ইশশশ!… আহঃ!”
-”মমমম……..”
“সংযুক্তা?..”
-”উম?”
-”এই বয়স্ক লোকটাকে একটু আদর তো কর!”
-”করছি তো!”
-”কই?”
-”আঃ, উমমম..”
-”তোমার ওই সুন্দর কচি তরতাজা গোলাপী-গোলাপী ঠোঁট দুটো দিয়ে চুমু খাও না আমায়..উমমম “
-”উমঃ .. প্চ্ম্..”
-”ব্যাস ওইটুকু!”
_”আরো কত চাই!”
-”উমমম তোমরা এই আঠের বছর বয়সী মেয়েগুলি বড় অহংকারী! আমি জানি! আমার ছোট মেয়েটাও এরকম!”
-”ধ্যাত্, .. উফ্ আপনি না… প্চ্ম,…. উম্প্চ্ম .. হয়েছে?”
-”আরেকটা হামি, উম্মমম !”
-”প্ছ্হ্| নিন এবার ছাড়ুন! অঙ্ক করবো তো!”
-”হুমম উচ্চমাধ্যমিক সামনে না? ভুলেই গেছিলাম!”
-”উম্, হ্যাঁ| বুকটা ছাড়ুন! প্লিজ্!”
-”উম্… এত নরম-নরম ,.. তোমার এই টি শার্ট টার কাপড় বড় সুন্দর, কোথা থেকে কিনেছো?”
-”উফফ আমি ওইদুটো এবার কেটে ফেলবো!এদিকে দেখুন না!”
-”আচ্ছা বাবা হাত নামাচ্ছি! কই দেখি দাও!”
-”উম্|”
রত্নপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রাক্তন teacher in charge রতিকান্ত বর্মন এই মুহূর্তে তাঁর বিশাল কক্ষে জানলার ধরে রোদে গা এলিয়ে বসে ছিলেন আরামকেদারায়| চা পর্ব শেষ হেছে বেশ কিছুক্ষণ হলো|
এখন খবরের কাগজটা সামান্য উল্টেপাল্টে দেখা| যদিও পড়ার মতো বিশেষ কিছুই পান না তিনি, দৈনিক খুনখারাপী এবং রাজনীতির ক্লেদাক্ত উপবেশনে তাঁর আগ্রহ অনুপস্থিত| শুধু হেডলাইন গুলিতে চোখ বলানো, আর স্টক মার্কেট-এর বিজ্ঞপ্তিতে চোখ রাখা| এই একটিমাত্র বিষয়ে, সরাসরি যুক্ত না হয়েও তাঁর অপার কৌতুহল| রত্নপুরে কেনা তাঁর এই বিশাল ফ্ল্যাটে লোকজন খুবই কম| পরিচারিকা, বাজার সরকার এবং নিচেরতলায় গ্যারাজে তাঁর বিশাল toyota গাড়ির রক্ষক এবং কিছু পেয়াদা| একাকিত্বের জীবন তাঁর অভ্যাস হয়ে গেছে অনেকদিন হলো| যদিও একাকিত্ব উপভোগে তিনি বিন্দুমাত্র উত্সাহী নন| ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোয় তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন অনেকদিন হলো| এবং এতেই তাঁর সময় বেশ ভালই কেটে যায়| এবং এই একই কারনে তাঁর জীবনের উষ্ণতা শীতের রৌদ্রের আমেজের উপর্যুপরি আরো বৃদ্ধি পায়|
‘ding dong’.. কলিং বেলের আওয়াজ শুনে হাসিমুখে খবরের কাগজ নামিয়ে রাখেন তিনি| নিচে দরজা খোলার আওয়াজ হয়, এবং তার কয়েক মুহূর্ত পরেই সংযুক্তা তাঁর বসার ঘরের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়ায়| ওর হাতে বই জড়ো করে উদরের কাছে চেপে ধরা|
তাঁর দোরগোড়ায় আঠেরোর অপরূপ সুন্দরী মেয়েটিকে দেখে মুগ্ধ হন যেনো আবার নতুন করে রতিকান্ত| এই ঝলমলে সকালেও ঘরের মধ্যে যেন আলো বিকিরণ করছে ওর রূপ!
কাঁধে এলিয়ে পরা ঘন কালো চুল, টানা টানা দুটি মায়াবী চোখ, পানপাতার মতো গরনের টকটকে ফর্সা মুখমন্ডলে দুটি লাল টুকটুকে কমলার কোয়ার মতো ঠোঁট| ওর মুখমন্ডলে অন্যতম আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছ ওর মাঝারি আকৃতির তীক্ষ্ণ নাকটি, ওর সারা মুখের ঢলঢলে লাবন্যে যার ইশত ঔদ্ধত্য অপূর্ব দ্যোতনার সৃষ্টি করেছে| মুখে একটি টিপে ধরা মিষ্টি হাসি নিয়ে ঘাড়টি একটু ঝুঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি| লাল টুকটুকে একটি পাতলা সালোয়ার কামিজ ওর পরনে| সামান্য কৃশ ছিপছিপে তনুটির সঠিক স্থানে অপূর্ব বাঁক ও উদ্ধত রেখার সুডৌল উপস্থিতি| সংযুক্তা বুকে ওড়না না দিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রেখেছে এবং সপ্রসন্ন দৃষ্টিতে রতিকান্ত দেখেন মেয়েটির সুডৌল পাকা আমের মতো দুটি সমুন্নত উদ্ধত অষ্টাদশী স্তনের লাল কামিজ টানটান করে চোখা-চোখা ভাবে ফুলে থাকা সামনের দিকে, যেন তাঁরই দিকে মাথা তুলে আছে স-অহংহ্কারে! ওর সরু কোমরের সুন্দর ভাঁজটিও স্পষ্ট কামিজের অবয়বে| টকটকে লাল সালোয়ার কামিজটি ওর দুধে আলতা ত্বকের সাথে খুবি সুন্দর মানিয়েছে|
ছাত্রীকে দেখে মৃদু হেসে রতিকান্ত সোফায় এসে বসেন চেয়ার থেকে উঠে| হাসিমুখে সংযুক্তাও এসে ওঁর পাশটিতে বসে পা একসাথে জড়ো করে| বইগুলো পাশে নামিয়ে রাখে|
-”কেমন আছেন স্যার?” সুন্দরী অষ্টাদশী হাসিমুখে শুধায়|
-”ভালো, তুমি নিশ্চই ফাঁকি দিছো!”
-”ধ্যাত!”
-”হাহা, ধ্যাত বললে তোমায় খুব মিষ্টি লাগে!”
-”হ্যাঁ, শুধু আপনারই!”
-”হাহাহা, দুষ্টু হোমওয়ার্ক সব করেছ!?”
-”করেছি, তবে সব পারিনি!”
-”তবে শাস্তির জন্য প্রস্তুত হও!”
-”স্যার, সব কি পারা যায় নকি!”
-”তা জানিনা! কাজ না করলেই শাস্তি!”

Author:

0 মন্তব্য(গুলি):