শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬

বৌদির সাথে নগ্ন হয়ে করা part: 1

পূজার আগের রাতে  জোগার জাগার করতে খুব খাটুনি গেছে। সেই সব শেষ করে সমীর ঘুমাতে যেতে অনেক দেরি হয়েছে। স্নান পড়া শেষ হলে পায়ে পায়ে রাখী বৌদির বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। হাতে একটা প্যাকেট। শহর থেকে নিজে পছন্দ করে শাড়িটা কিনে এনেছে। নীল রঙের ওপর। বৌদির নীল রঙ খুব পছন্দের। সমীর বৌদির সাথে কথায় কথায় জেনে নিয়েছিল দিন কয়েক আগেই। আরে একটা ছোট বক্সে মানানসই রঙের কাঁচের চুড়ি। এই হল বৌদিকে দেবার মত ঊপহার।
 
 
 
রাখী বৌদির বাড়ি পৌঁছে দেখল রাখী ঘুম থেকে ওঠে নি। পলাশ থাকে না বলে রাখী বৌদির কাছে সব উৎসব বিবর্ণ। রঙ চটা। ভগবানের কাছে ও প্রত্যেকদিন প্রার্থনা করে। তাই বিশেষ দিনে আর বিশেষ করে কিছু চায় না। সারাজীবন ধরে একটাই চাওয়া ভগবানের কাছে। একটা সন্তান। কিন্তুর উপরওয়ালার কোন দয়ার খবর এখনো পায়নি রাখী। তাই উৎসবের দিনে বাচ্চাদের আনন্দ দেখতে রাখী বৌদির সব চেয়ে ভাল লাগে। তাই মন্দিরে যায়। সবাইকে নতুন পোশাকে দেখে ওর পলাশের কথা মনে পড়ে যায়। বর পাশে থাকলে ওর ভাল লাগে, নাইবা থাকল কোন সন্তান।

দরজায় খটখট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় রাখীর। চোখ খুলে ঠাহর করতে পারল এটা কোন সময়। কাল বাপের বাড়ি থেকে ফিরেছে। সোনারপুর থেকে সাতগাঁর রাস্তা খুব কম না। শরীর ক্লান্ত ছিল। মরার মত ঘুমিয়েছে।

ভোর হয়ে গেছে খেয়াল পরতেই রাখী বিশ্রী গলায় চেঁচিয়ে উঠল, ‘কে রে?’

সমীর বাইরে থেকে উত্তর দিল, ‘বৌদি আমি।’

রাখী উঠে বসে কাপড় ঠিক করতে করতে জিজ্ঞাসা করল,  ‘এতো সকালে কি চাই?’

কাল সন্ধ্যাবেলায় সমীর কথা বলে গেছে রাখী বৌদির সাথে। বাপের বাড়ি কেমন কাটাল, শরীর ঠিক আছে কিনা, মন্দিরে যাবে কিনা ইত্যাদি।

সমীর উত্তর দিল না। রাখী দরজা খুলে দিল। সমীর ঘরে ঢুকে পড়ল।
সমীর রাখীকে বলল, ‘এত বেলা অবধি ঘুমোচ্ছো কেন বৌদি?’
রাখীর মন ভাল হয়ে গেল। এতো সকালে সমীর এসেছে বলে।

রাখী বলল, ‘আয় বোস।’

রাখী লক্ষ্য করল সমীরের হাতে একটা প্যাকেট। কিসের প্যাকেট?

ওকে বেশি ভাবার অবকাশ না দিয়ে সমীর হাত বাড়িয়ে প্যাকেট রাখী বৌদির মুখের সামনে ধরল, ‘বৌদি,  এটা তোমাকে পূজার উপহার।’ এরকম চমক (surprise) রাখীকে আগে কেউ কোনদিন দেয় নি। বাবা বা পলাশ পর্যন্ত না। বাবার কাছে বা পলাশের কাছে একটা দাবি মত থাকত পূজার উপহারের জন্যে। মুখ ফুটে না বললেও। সমীরের কাছে এমন উপহার কোন দিন পাবে স্বপ্নেও ভাবে নি। এমন সুখের, আনন্দের চমক রাখীকে বেসামাল করে ফেলল। হাত বাড়িয়ে প্যাকেটটা নিল। বিছানায় প্যাকেটটা রেখে সমীরকে জড়িয়ে ধরল রাখী। সকালের আলোয় সমীরকে বুকের মধ্যে পেয়ে রাখী এক রেশমের পেলবতা অনুভব করল। ভোরের শিশির ওর মনকে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। প্রভাতের সূর্যের নরম কিরণের মত সমীরের ভালবাসা। গায়ে মেখে নিল। রাখী ভাবল কেন ওর ভাগ্য এতো ভাল হল না যে পলাশ সফিকের মত হল না। পলাশের কথা না ভেবে সমীরকে জড়িয়ে ধরল। শক্ত করে। লম্বা সমীরের বুক পর্যন্ত রাখী মাথা। আলতো করে সমীরের বুকে মাথা ঠেকিয়ে রেখেছে রাখী।  মনের মধ্যে সুখের ফল্গু বয়ে চলেছে। সমীর যে তার কাছে ভগবানের বড় দান। ওর ভালবাসা সব থেকে বড় পূজার উপহার। কখন দুচোখ জলে ভরে গেছে রাখী বুঝতে পারে নি। গাল বেয়ে নেমেছে। হুঁশ ফিরল সমীরের কথায়। ‘বৌদি কাঁদছ কেন? পলাশদা তো কাজে গেছে। এরপর একেবারে চলে এলে আর কোন কষ্ট থাকবে না তোমার।’ সমীর রাখীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল। রাখী সমীরকে বোঝাতে চাইছে না কিসের দুঃখে বা সুখে রাখী বৌদির চোখে জল। এমনও ভালবাসা ওর জীবনে আসতে পারে ভাবে নি রাখী। এক সময় রাখী ছেড়ে দেয় সমীরকে।

সমীর বলল, ‘বৌদি শাড়িটা পরবে কিন্তু। এখন চলি।’

রাখী বৌদির সমীরকে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না।  মন চায় আজ উৎসবের সারাটা দিন একসাথে কাটায়। মন চাইলেও হবে না। ওদের সম্পর্ক সমাজ স্বীকৃত নয়, কোন দিন হবেও না।

রাখী বলল, ‘সন্ধ্যাবেলা আসিস।’

সমীর মাথা নেড়ে বেরিয়ে পড়ে। সুন্দর একটা সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরেছে। সকালের সূর্য্যের আলো ওর শরীরে পড়ছে। রাখী দেখল সমীর আলের ওপরে উঠল, ধীরে ধীরে দৃষ্টির আড়ালে চলে গেল। রাখী আর বিছানায় দ্বিতীয়বার ঘুমাবার জন্যে শুয়ে পড়ল না। পূজার বিশেষ দিন সুন্দর করে কাটাতে চায়। মন চেয়েছে পূজার দিনটা ভাল কাটুক। পলাশ পাশে না থাকার দুঃখ ভুলে উৎসবে মেতে উঠবে রাখী.........................................................................................................
 
part :2 দেখুন পরের post য়ে...............

Author:

0 মন্তব্য(গুলি):